Saturday, February 19, 2022

কবিকে ভালোবাস যদি

কবিকে ভালোবাস যদি, চাও যদি
পাও ও যদি
তবে হিমবাহ বুকে নিয়ে থাক দাঁড়িয়ে
গোলাপের পাপড়ির বেদনা তোমার হউক
 
১৪.০২.২০২২

কিচ্ছু দেয়ার নেই আমার

পৃথিবীকে অনেক কিছু দেয়ার আছে আপনাদের
আমার নাই।

আমি বুঝে গেছি আমার কিচ্ছু দেয়ার নাই পৃথিবীকে
তাই ঘুম পেলে আমি ঘুমিয়ে পড়ি
ঘুম না এলে জেগে থাকি, স্ত্রী অপেক্ষা করে থাকলে আমি তার কাছে যাই।
সন্তানেরা রাত জেগে খুনসুটি করে, আমার দেখতে বেশ লাগে
আমি তাদের ঘুমাতেও বলি না।
 
ওরা ঠিকমত পড়েও না। গান শোনে, গিটার বাজায়
মোবাইল চালায়। পরীক্ষায় খারাপ করে। করুক
 
আমার কিছু দেয়ার নাই পৃথিবীকে
এমনকি সামান্য উপদেশও। এইসব আপনাদের কাজ
 
আপনারা বরং আদেশ করেন
আর বলেন নিজেকে ভালো রাখতে হলে কী কী করতে হবে আমাকে
পৃথিবীর মহান সিস্টেমকে বাঁচিয়ে রাখতে হলে কী কী করতে হবে
আমি বরং সেই রকমই করব। আপনারা যেই যেই ভাবে তৈরি করে রেখেছেন ভালো মন্দ
 
তবু কাউকে উপদেশ দিতে বলবেন না আমাকে
কেবল নিজের আয়ুর অংক উর্ধ্বক্রম দেখানো ছাড়া
পৃথিবীকে দেয়ার কিছু নাই আমার
 
কিংবা যা যা দেয়ার ছিল সব দিয়েছি
আপনাদের বানানো নিয়মে আমি নতজানু থেকেছি
উচ্চস্বরে গ্রহণ করেছি শিক্ষা,
উন্নত শিরে গ্রহণ করেছি বিলাস।
বংশ বিস্তারের প্রয়োজনীয় এবং অপ্রয়োজনীয় সমস্ত যোগ উপযোগ আমি গ্রহণ করেছি নতঃশিরে
 
ভাঙা মিটশেফের খাবার খেয়ে ফেলতো বলে
না বোঝা বয়সেই খুব কিউট দেখতে একটা বিড়াল মেরে ফেলেছিলাম আমি
যদিও মনুষ্যত্বের জয়গানে এইসব হত্যাকান্ড খুব মামুলি বিষয়
বরং মানুষের মহানুভবতা এই যে মানুষ ধর্ম আর নানারকম নিয়মকানুন বানিয়ে টানিয়ে কাফফারারও ব্যবস্থা রেখেছে এইসবে।
সুতরাং আপনারা মেটাভার্সের স্যাটা ফাটিয়ে দিয়ে নোবেল বা কতবেল ঘোষণা করুন শ্রেষ্ঠ চিন্তকের জন্য
আর চিন্তার ছাঁচ বানিয়ে রাখুন আপনাদের মোটা মোটা গ্রন্থে
 
আমাকে চিন্তাও করতে বলবেন না
যেহেতু আমার মগজ আমি সাগ্রহে তুলে দিয়েছি আপনাদের হাতে
 
আর, নয় তলার ঘরে আরাম আয়েশে শুয়ে বসে আমি অপেক্ষা করছি
পৃথিবীর ধ্বংসাবশেষের উপর দাঁড়িয়ে একটা
নিখাদ দুঃখময় কবিতা লিখব বলে
 
এর বেশি আর কিচ্ছু দেয়ার নেই আমার
 
১১.০২.২০২২

প্রণয় প্রভা

ঘেমে উঠছি, বার বার
অথচ শীতাঙ্ক যথেষ্ট নিচের ঘরে
 
অপয়া প্রেমের ছায়া সরাও, তুমি পাশে থাকলেই ঘেমে উঠি
আর খাতায় আঁকিবুঁকি। কেন ঘামছি মনে পড়ে না
 
তুমি হাসছ মিটিমিটি । এতটা কেন জেনে যাও !
 
শূন্যতা ছড়িয়ে আছে আসবাবে, চেয়ারের হাতলে, মোবাইলের টাচস্ক্রিনে
ছায়ামাত্র তুমি
তুমি মাত্র ছায়া
নৈঃশব্দ্যের তাপ কেন বাড়াও ?
নিজেকে ভিখিরি লাগে । আর কত ভিখিরি হব ?
 
কদাচিৎ তোমাকে ভাবি
তবু প্রণয়বিলাসী প্রভা ছড়িয়ে থাকে শূন্যতায়
 
১০.০১.২০২২

অর্থনীতি

অনর্থই সকল অর্থের মূল
মদের দোকানে হাতের লেখা বিল আপনি বদলে দিন জনাব
 
এর নাম অর্থনীতি
ঠিকঠাক অর্থনীতি
চিয়ার্স নেমিরফ
চিয়ার্স ইউক্রেন
 
১৭.০৮.২১

Friday, February 18, 2022

অনিন্দ্য নিত্য

অনিন্দ্য নিত্য অনিন্দ্য নিত্য
আমাকে চিনতে পারছি না আমি । কোথায় থেকে
কোথায়, কী থেকে কী হয়ে গেছি আমি
 
অনিন্দ্য নিত্য, অনিন্দ্য নিত্য
আমাকে চনতে পারছি না আমি
আমি কিছুতেই ভুলি না চুলার পোড়া মাটির স্বাদ
অনিন্দ্য নিত্য, অনিন্দ্য নিত্য। কে তুমি
কোথায় তুমি?
 
‘মায়ের একধার দুধের দাম কাটিয়া গায়ের চাম’
কে মা কোথায় মা? কেমন দরদি তিনি?
 
অনিন্দ্য নিত্য অনিন্দ্য নিত্য…কে মা? কোথায় তিনি?
 
হাহ্ ঈশ্বর…কে মা? আপনি? তুমি?
 
অনিন্দ্য নিত্য, অনিন্দ্য নিত্য
আমাকে মুক্ত কর। হে মুক্তি
 
আমাকে জড়িয়ে ধর
 

 

তুমি আরেকটা দিন থাক

তুমি বদলে গেলে বদলে যায় অক্ষর
একটা বড়ইয়ের বিচি পকেটে রেখে অপেক্ষা করেছি রাতভর
তারপর ভুলে গেছি।
একদিন স্বপ্নে তোমাকে সাথে নিয়ে বড়ই খেলাম...আহ্ তুমি
পরদিন সকালে ঠিকঠিক পকেটে বিচি পাওয়া গেল
 
তুমি থাকলে বদলে যায় অক্ষর
 
তুমি একটা প্রজাপতি ছুঁয়ে বলেছিলে 'সুন্দর'
তারপর অক্ষর ডানা মেললো প্রজাপতি হতে
 
৩০.০৮.২০২১

Saturday, December 4, 2021

অন্ধকার

কবিতা লিখে কী হয়? কী হয়েছে এযাবৎ এতো এতো মহান মহৎ কবিতায় যা আজ পর্যন্ত লেখা হয়েছে। কিচ্ছু হয়নি, বরং অন্ধকারে প্রজনন বাড়ছে দিনে দিনে, বংশ বিস্তার হচ্ছে অন্ধকারের। কবিতারও কিচ্ছু হচ্ছে না। অন্তত বাংলায় তো নয়ই। তবু কী সব লিখি আগর বাগর। না লিখে পারি না তাই লিখি। কবিতা ছাড়া আর কোথাও যাওয়ার নেই তাই। এত এত তর্ক, বিতর্ক, আস্ফালন কী হচ্ছে পৃথিবীর। বাড়ছে আরাম, আয়েশ আর কিছু মানুষ ডুবছে, ডুবছে অন্ধকারে।
 
অন্ধকারেরই প্রজনন ক্ষমতা সর্বাধিক
তাই অন্ধকার ছুটছে দিগ্ বিদিক
 
আলো ভেবে যার পিছে ছুটছেন, তার শরীরেও অন্ধকারের শ্লেষ্মা